সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:২৫

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বরিশালের খাবার হোটেলে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ: আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

বরিশালের খাবার হোটেলে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ: আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ

dynamic-sidebar

সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরদারি না থাকায় বরিশাল শহরের খাবার হোটেলগুলো চলছে ইচ্ছে মত। খাবারের মূল্যও বাড়িয়ে নেয়া হচ্ছে ২/৩ গুণ। কিন্তু তাও মিলছে না স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। প্রতিনিয়ত হোটেলগুলোতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভাতসহ নানাবিধ খাবার। অথচ হোটেলগুলোর অবস্থা যে এতটাই করুণ তা সরেজমিনে না দেখলে অনুমান করার সুযোগ নেই। বিশেষ করে বরিশাল শহরের লঞ্চঘাট-চরকাউয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি ভাতের হোটেলে চোখ রাখলেই এই অনিয়মের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হচ্ছে, প্রশাসনিক ঝুট-ঝামেলা এড়াতে প্রতিটি হোটেলের রান্না ঘর তৈরি করা হয়েছে হোটেলের খানিকটা দূরে কীর্তনখোলা নদীর তীরে। সেখানে নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করা হলেও সেটি কোন্ প্রতিষ্ঠানের তা নিশ্চিত হওয়া কষ্টের বিষয়। ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, চরকাউয়া খেয়াঘাট-লঞ্চঘাট এলাকায় অন্তত ১০টির বেশি খাবার হোটেল পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের খাবার মান খুবই নি¤œমানের। অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অর্থ্যাৎ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। এমনকি নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন বা তৈরি হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরও রয়েছে নিশ্চুপ। বলা বাহুল্য যে ওই হোটেলগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই খাবার তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে। যা খাবার হোটেলগুলো রন্ধনশালায় গেলে সহজেই দেখা যায়। এভাবেই দিনের পর দিন হোটেলগুলো পরিচালিত হওয়ায় এলাকার সচেতন মানুষ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে গত ৩ মাসে এসব হোটেলগুলোর খাবার খেয়ে শতাধিক মানুষ পেটের পীড়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা আতংক আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা। অথচ এই অনিয়মের বিরুদ্ধে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং প্রতিষ্ঠানটিতে সৃষ্ট পদে তাদের কোনো কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেই বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের এমন ভূমিকার কারণেই দিনত্তোর শহরের খাবার হোটেলের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। খোঁজ-খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, একই অবস্থা শহরের পলাশপুর, কাউনিয়া, নতুন বাজার, কাশিপুর, চৌমাথা, বটতলা বাজার, ফলপট্টি, বাজার রোড, কেডিসি, চাঁদমারী, নথুল্লাবাদ ও রুপাতলীসহ প্রায় সকল খাবার হোটেলেরই। এসব স্থানের হোটেলগুলোর পরিবেশ এতটা খারাপ হলেও প্রশাসন গত ৬ মাসে বড় ধরনের কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি। বিশেষ করে ভোক্তার অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও কয়েক মাসে শহরে তেমন কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও হোটেল পাড়ায় গুঞ্জন রয়েছে, তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ম্যানেজ করেই ইচ্ছা খুশি মত হোটেলগুলো চলছে। তবে এসব বিষয়াদি অস্বীকার করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র বলছেন, শহরের হোটেলগুলোতে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। তার পরেও থামছেনা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার কাজ। নিয়মের ভিতরে কেন আসছে না সেই বিষয়টি নিয়ে তারাও বিব্রত। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে একাধিকবার জরিমানা আদায় করার পরেও যদি তারা না শোনে সেক্ষেত্রে কি করার আছে বলেও জানান তিনি। তারপরেও অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আপাতত শহরের বাইরে উপজেলাগুলোতে তাদের প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। গত মাসে বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ৬৮টি অভিযান করে ৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে বিভাগীয় শহরের হোটেলগুলোকে অনিরাপদ রেখে উপজেলায় ধারাবাহিক অভিযানের বিষয়টিকে ইতিবাচক মনে করছেনা সচেতন মহল। অবশ্য এই কারণে পরিবেশ অধিদপ্তরকেও দোষারোপ করা হচ্ছে। তাদের অধিদপ্তরের সনদ না নিয়ে অথবা সনদ নেয়ার পরেও কিভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো দিনের পর দিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। যদিও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবদুল হালিম বলছেন, নগরীর যে সকল খাবার হোটেলগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চালানো হবে অভিযান।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net